N I R O G

Foundation

নীরোগ ফাউন্ডেশন - সুস্থতা ও সুখের সেতুবন্ধ

শুরুর গল্প

নীরোগ ফাউন্ডেশন : যাত্রা শুরুর গল্প এবং বর্তমান কার্যক্রম

জন্ম নিবন্ধন/এনআইডি কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে এমন একটি অ্যাপ ও সফটওয়্যার তৈরি করা হবে, যেখানে জীবনবৃত্তান্তের পাশাপাশি একজন ব্যক্তির সব বয়সের সব রোগের ইতিহাস (হিস্টোরি) জমা থাকবে এবং সেটা ক্রমান্বয়ে আপডেট হতে থাকবে। হিস্টোরি জমা থাকলে রোগীর রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি সহজ ও তুলনামূলক সঠিক হবে।
-এরকম একটি ভাবনা নিয়ে ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর ‘নীরোগ অ্যাপ’ নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কাজ শুরু করা হয়। যদিও নানান সীমাবদ্ধতার কারণে প্রকল্পটি এখনও আলোর মুখ দেখেনি।

২০ মার্চ ২০২৩, নীরোগ অ্যাপের উদ্যোক্তারা অসহায় রোগাক্রান্ত শিশু/ব্যক্তি এবং দাতার (ডোনার) মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে একটি প্ল্যাটফর্ম শুরুর পরিকল্পনা করেন। একই বছরের ১৫ এপ্রিল ‘নীরোগ অ্যাপ’ থেকে ‘নীরোগ ফাউন্ডেশন’-এ রূপান্তর করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা করা হয় এবং তা বাস্তবায়নে কাজ শুরু হয়। নীরোগ ফাউন্ডেশন-এর স্লোগান নির্ধারণ করা হয়: সুস্থতা ও সুখের সেতুবন্ধ।

নীরোগ ফাউন্ডেশন একটি স্বেচ্ছাসেবী, বেসরকারি, অরাজনৈতিক ও দাতব্য কল্যাণমূলক সংস্থা। নীরোগ ফাউন্ডেশন-এর যাত্রা রাজধানী ঢাকা শহরে শুরু হলেও সংস্থার প্রধান কার্যালয় নিজপাড়া, বীরগঞ্জ, দিনাজপুরে অবস্থিত। সংস্থাটির কার্য এলাকা নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সমগ্র বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণ করা হবে।

নীরোগ ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো গরীব, অসহায় রোগাক্রান্ত শিশু/ব্যক্তি এবং দাতার (ডোনার) মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরির মাধ্যম হিসেবে কাজ করা। আমাদের আশেপাশে অনেক মানুষ রয়েছেন (বিশেষত শিশু) যারা নানাবিধ দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। অনেকেই অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেন না। সামর্থ্যবান, যাঁরা ওইসব অসহায় রোগীর পাশে দাঁড়াতে চান, আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে চান, ‘নীরোগ ফাউন্ডেশন’ তাদের দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।

নীরোগ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু করার পর ২০২৩ সালে দুজন সাহায্যপ্রার্থীর প্রোফাইল (পরিচয় ও রোগের বিস্তারিত) নীরোগ ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় পাবলিশ হয়। পাশাপাশি গণমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। এতে একজন সাহায্যপ্রার্থী প্রায় ৪ লাখ টাকা সহযোগিতা পান। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে দুজন সাহায্যপ্রার্থীর প্রোফাইল পাবলিশ করা হয়, যা এখনো অনুদান প্রাপ্তির জন্য সক্রিয় রয়েছে।